রেসপন্সিভ শব্দটি কি?
রেসপন্সিভ শব্দটি বৈশিষ্ট্য বুঝাতে ব্যবহৃত হয় যা একটি উত্তর বা প্রতিক্রিয়ার জন্য বলা হয়, যা স্ক্রিনের আকার, আকৃতি, আকার বা মাধ্যমের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের উত্তর দেয়। অর্থাৎ, যখন একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন রেসপন্সিভ হয়, তখন সেই সাইট বা অ্যাপ ব্যবহারকারীর ডিভাইসের আকার এবং স্ক্রিনের মাধ্যমে সাহয্য করে, যাতে ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়। একটি ওয়েবসাইট রেসপন্সিভ করার প্রয়োজন কারণ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং সাহয্য উন্নত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
রেসপন্সিভ করবো কিভাবে?
একটি ওয়েবসাইটকে রেসপন্সিভ করার জন্য আমাদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কোডিং করতে হয়, মানে হচ্ছে আমরা যখন আমাদের ওয়েবসাইট বানানো শুরু করব তখন থেকেই আমরা রেসপন্সিভ ডিজাইন করার চেষ্টা করব। কারণ কোড যখন অনেক বেশি হয়ে যাবে তখন আপনাকে রেস্পনসিভ করতে অনেক প্রবলেমের সম্মুখীন হতে হবে বা রেসপন্সিভ করাটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে ( কিন্তু আপনি চাইলে পুরো ওয়েবসাইট বানানোর পরও রেসপন্সিভ করতে পারেন )। ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ করার জন্য অনেকগুলো প্রপার্টি এবং ভেলু রয়েছে যেগুলা ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে রেসপন্সিভ করতে পারবো আমাদের ওয়েবসাইটকে । ( অবশ্যই সব প্রপার্টি এবং ভেলু সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করব )।
রেসপন্সিভ আমাদের কোন কোন কাজে আসে?
১. বিভিন্ন ডিভাইসে সঠিক প্রদর্শন: ব্যবহারকারীর ডিভাইস বিভিন্ন আকার, আকৃতি এবং মাধ্যম সহ আসতে পারে। রেসপন্সিভ ডিজাইন এই বিভিন্নতা উল্লেখ করে এবং সাইটটি প্রতিটি ডিভাইসে সঠিকভাবে দেখার সুযোগ তৈরি করে।
২. ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে: ব্যবহারকারীর উপযোগীতা এবং আনন্দ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। একটি সঠিকভাবে রেসপন্সিভ ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর ডিভাইসের সাইজ এবং স্ক্রিনের প্রয়োজনীয় প্রদর্শন প্রদান করে, যা উচ্চ অভিজ্ঞতা ও ব্যবহারকারীর সন্ধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩. মোবাইল ফ্রেন্ডলি: আমরা বেশিরভাগ সময় মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করি, এই কারণে রেসপন্সিভ ডিজাইন মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য বেশি সুবিধাজনক এবং আকর্ষণীয় তৈরি করে। সংক্ষিপ্তভাবে বলা গেলে, রেসপন্সিভ ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করা এবং বিভিন্ন ডিভাইসে সঠিক প্রদর্শন নিশ্চিত করা যেতে পারে।
রেসপন্সিভ করতে গেলে আপনাকে ন্যূনতম কি কি জানা লাগবে?
রেসপন্সিভ ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান থাকতে হবে:
1. HTML এবং CSS: রেসপন্সিভ ওয়েবসাইট তৈরি করতে HTML এবং CSS এর মৌলিক জ্ঞান প্রয়োজন। HTML দিয়ে ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট স্ট্রাকচার নির্মাণ করা হয় এবং CSS দিয়ে ডিজাইন ও লেআউট কাস্টমাইজ করা যায়।
2. মিডিয়া কুয়েরি: CSS মিডিয়া কুয়েরি ব্যবহার করে স্ক্রিনের আকারে ভিন্নতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এটি আপনাকে প্রয়োজনীয় ডিজাইন পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে।
3. মেডিয়া কুয়েরি ব্রেকপয়েন্ট: আপনি কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটে ব্রেকপয়েন্ট যোগ করতে হবে তা জানতে হবে। এই ব্রেকপয়েন্টগুলি স্ক্রিনের আকার অনুযায়ী ডিজাইন পরিবর্তন করার জন্য ব্যবহার হয়।
4. Grid এবং Flexbox: grid এবং Flexbox ব্যবহার করে স্ক্রিনের আকারে সঠিক লেআউট তৈরি করা যায়।
5. ডেভাইস টেস্টিং: আপনার ডেভাইসে ওয়েবসাইটটি ভিন্ন আকারে প্রদর্শিত হচ্ছে কি না তা চেক করতে প্রত্যেকটি ডিভাইসে টেস্ট করা প্রয়োজন।
6. ক্রস-ব্রাউজিং টেস্টিং: ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার বাইরে আপনার ওয়েবসাইটটি কেমন দেখায় সেটি চেক করা প্রয়োজন।
7. ব্রাউজার ডেভটুলস: ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়ার সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্যা সনাক্ত করার জন্য ব্রাউজার ডেভটুলস ব্যবহার করা প্রয়োজন। ব্রাউজার ডেভটুলস এর মাধ্যমে আমরা ডেভাইস টেস্টিং করতে পারবো ।
উপরোক্ত বিষয়ে আপনার ন্যূনতম জ্ঞান থাকলেই আপনি ও পারবেন আপনার ওয়েবসাইটকে রেসপন্সিভ করতে পারবেন। হে অবশ্যই এই আর্টিকেলে আমরা শুধুমাত্র css এবং css media query ব্যবহার করে রেসপন্সিভ করা শিখবো ।